রকমেলন কীভাবে চাষ করবেন?
- রকমেলন কীভাবে চাষ করবেন?
★ Racomalon হল তরমুজ পরিবারের একটি ফল, সৌদি আরবে সাম্মাম( راكومالون) নামে পরিচিত। ফলের বাইরেরচামড়া পাথরের মতো, তাই এর নাম ক্যান্টালুপ।★হজমে সাহায্য করে। এই ফলটি চুল ও ত্বকের জন্যও ভালো। যাইহোক, ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে আক্রান্তব্যক্তিদের ফল খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের৷ সাথে পরামর্শ করা উচিত।তরমুজ চাষঃ বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই লাভের আশায় এ ফল চাষ করছেন।
.........................................................................
★রকমেলন চাষ পদ্ধতি★রকমেলন নিউজিল্যান্ড চাষ
★রকমেলন চাষ পদ্ধতি
............................................................................
চাষের সময়: সাধারণত "হানি জুস”জাত মাঠে দুইবার চাষ করা যায়। একবার শীত পেরিয়ে গেলে (রাতের সময় তাপমাত্রা 19°© ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে), অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি (ফাল্গুন), যখন তাপমাত্রা আবার কমে যায় (দিনের তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে), অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি (আসাদ বদলা) ★বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত পলি সুড়ঙ্গ বা পলি ঘর খুব ভালো ফসল ফলাতে পারে। তদুপরি, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্রিনহাউসে চাষ প্রায় বছরব্যাপী করা যেতে পারে।
জলবায়ু মিষ্টি টাইপ বাজারজাতকরণের জন্য পছন্দের জাত। এই জাতের বীজে প্রতি 10 গ্রামে প্রায় 350 থেকে 400 বীজ থাকে।
জমি প্রস্তুত: জমি প্রথমে চাষ দিয়ে পরে বিঘা প্রতি ৫ ট্রলি (৫ টন) শুকনা গোবর ও প্রায় ২৫০ কেজি জিপসাম দিয়ে পুনরায় চাষ দিয়ে ৩ সপ্তাহ ফেলে রাখতে হবে।জমি তৈরির সময় সার প্রয়োগ সারের নাম গাছ প্রতি
★গোবর সার ৪-৬ কেজি★জিপসাম ১০০গ্রাম★ইউরিয়া ৫ গ্রাম★টি এস পি ১৫ গ্রাম★পটাশ / এমওপি ২০ গ্রাম★জিংক (গ্রোজিন) ১ চা চামচ★বোরন ১ চা চামচ★ম্যাগনেসিয়াম সালফেট/ ম্যাগসার ৫০ গ্রাম★সালফার (থিওভিট) ১ চা চামচ©.রিজেন্ট (অটোক্রপ) ১ চা চামচ,©-রাগবি ১ চা চামচ
চারা তৈরিঃ
প্যাকেট থেকে বীজ বের করে ১ ঘন্টা রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। খেয়াল করতে হবে, পাখি বা মুরগি খেয়ে না ফেলে। এরপর এক ঘন্টা ছায়ায় রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে।বীজ দেয়ার পর ভালোভাবে পানি স্প্রে করে দুই-একদিন ট্রে ঢেকে রাখলে দ্রুত অঙ্কুরোদগম হবে। এরপর চারার ট্রে রোদে রাখতে হবে। সর্বদা স্প্রে করে ভিজিয়ে রাখতে হবে যাতে কখনো শুকিয়ে না যায়। দুই-আড়াই পাতা হলে জমিতে দিতে হবে। এর আগে জমি প্রস্তুত করে নিতে হবে।প্রথমে ক্ষেতের চারপাশে ১.৫ ফিট নালা থাকতে হবে। বেড হবে ৩.৫ ফিট চওড়া ও আধা থেকে ১ ফিট উচা। দুই বেডের মাঝে নালা থাকবে ২ ফিট চওড়া। অর্থাৎ সাড়ে চার ফিট পর পর জমিতে সুতা ধরে ছোট লাঙ্গল দিয়ে দাগ কেটে দাগে উভয় পাশে ১ ফিট করে মাটি উঠালে মাঝে হবে দুই ফিট নালা, আর বেড হবে সাড়ে তিন ফিট।এরপর বাকি ৫০ ভাগ সার বেডের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। ভার্মি কম্পোস্ট (বিঘায় ২৫০ কেজি) বা আরও কিছু শুকনো গোবর (বিঘায় ১-১.৫ টন) দিতে পারলে খুব ভালো হয়। এরপর বেডে ফাইনাল মাটি দিয়ে মই করে সমান করে নিতে হবে।সর্বশেষ টিমসেন স্প্রে কওে ছত্রাকমুক্ত করতে হবে।
মালচিং শিট বেড তৈরির পর বিছাতে হবে।
রকমেলন করতে বিঘায় ২ টি মালচিং শিট প্রয়োজন যেগুলো ১.২ মিটার বা প্রায় ৪ ফিট চওড়া ও ৪০০ মিটার বা প্রায় ১৩০০ ফিট লম্বা। গার্ডেন ফ্রেশ বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের মালচিং পেপার সরবরাহ করা হয়।১৬ সাইজের গুনা ৯-১০ ইঞ্চি করে কেটে দুই পাশ বাঁকিয়ে মালচিং পেপারের দুই সাইডে মাটির সাথে গেঁথে দিতে হবে। মাঝে মাঝে পেপারে অল্প মাটি তুলে দিতে হবে যাতে বাতাসে উড়ে না যায়। এরপর বাকি ৫০% সার বেডের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। । ভার্মি কম্পোস্ট (বিঘায় ২৫০ কেজি) বা আরও কিছু শুকনো গোবর (বিঘায় ১ টন) দিতে পারলে খুব ভালো হয়। এরপর বেডে ফাইনাল মাটি দিয়ে মই করে সমান করে নিতে হবে। সর্বশেষ টিমসেন স্প্রে কওে ছত্রাকমুক্ত করতে হবে। মালচিং শিট বেড তৈরির পর বিছাতে হবে। রকমেলন করতে বিঘায় ২ টি মালচিং শিট প্রয়োজন যেগুলো ১.২ মিটার বা প্রায় ৪ ফিট চওড়া ও ৪০০ মিটার বা প্রায় ১৩০০ ফিট লম্বা। ১৬ সাইজের গুনা ৯-১০ ইঞ্চি করে কেটে দুই পাশ বাঁকিয়ে মালচিং পেপারের দুই সাইডে মাটির সাথে গেঁথে দিতে হবে। মাঝে মাঝে পেপারে অল্প মাটি তুলে দিতে হবে যাতে বাতাসে উড়ে না যায়। এরপর শাটারের ¯স্প্রিং ৪ ইঞ্চি ডায়াতে গোল করে ঝালাই করে রড লাগিয়ে কাটার তৈরি করে মালচিং পেপার ছিদ্র করতে হবে। এক মালচিং এর মাঝ বরাবর দুই সারিতে চারা লাগানোর জন্য ছিদ্র করতে হবে। চারা থেকে চারার দুরত্ব ২ ফিট। সারি থেকে সারির দুরত্ব ২ ফিট। চারা বপনঃ ট্রে থেকে চারা তুলে ছিদ্রে গর্ত করে বপন করতে হবে। এরপর ২ দিনের মাঝে আড়াআড়ি ক্রস করে প্রায় ৬ ফিট লম্বা কঞ্চি প্রতি গর্তে স্থাপন করতে হবে। ক্রস সেকশন গুনা দিয়ে বেঁধে গুনার দুই প্রান্তে বেডের দুই মাথায় মোটা বাঁশ স্থাপন করে আটকে দিতে হবে।
গাছের যত্নঃ চারা স্থাপনের পর ক্ষেতে পানি সেচ দিতে হবে। বেড বেশি উঁচা হলে পাত্র দিয়ে পানি গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে। টেবিল অনুসারে বালাইনাশক ও সার স্প্রে করতে হবে।কাটিং রকমেলন চাষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গাছের নিচের দিকে কেবল একটি ডাল রেখে বাকি গুলো ফেলে দিতে হবে। গাছ ৭-৮ পাতা হলে আগা কেটে দিতে হবে। এরপর দুই শাখা বের হবে। সেখানে গাছের প্রথম পাতা (বীজ পাতা বাদে) থেকে হিসাব করে ৮ম-১২তম পাতার গোড়ায় আসা ফল পরাগায়ন করে নিতে হবে। এরপর ফল ১৫০-২০০ গ্রাম হলে একটি গাছে প্রতি ডালে একটি করে মোট ২টি ফল রাখতে হবে। এর বেশি ফল রাখা যাবে না।
পানি সেচ নিয়মিত দিতে হবে,
গাছে পুরূষ ফুল ফোঁটা শুরু হলে শতক প্রতি ১ থেকে ২ টি করে সাড়ে চার ফিট উচ্চতায় ফেরোমোন ট্রাপ (ইসপাহানি কিউ লিওর) স্থাপন করতে হবে।
ফলের যত্নঃ ফল ধরে গেলে নন-অভেন (NWF) টিস্যু ব্যাগ দিয়ে ব্যাগিং করলে মাছি পোকা ও কাটুই পোকা থেকে ফল ভালো থাকে। এছাড়াও কাটুই পোকা থেকে বাঁচাতে পুরো ক্ষেতে ডেসিস স্প্রে করে দিতে হবে।চারা বপনের ৪০ দিনের পর আর সেচ দেয়া যাবে না। প্রয়োজন থাকলে আগেই সেচ দিয়ে নিতে হবে। ফল পাকা শুরু হলে ইথ্রেল স্প্রে করে ফল উত্তোলন করে সুন্দর করে বক্সে প্যাকিং করতে হবে। এক কার্টুনে ২-৩ লেয়ারের বেশি ফল দেয়া যাবে না। প্রতিটি ফল পেপারে মুড়িয়ে নিতে হবে। দেরি না করে দ্রুত বাজারে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
Labels: কৃষি


0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home